প্রশাসন অনুষ্ঠিত করলো কবি প্রণাম, স্কুলপড়ুয়ারা বাড়িতেই নৃত্য, আবৃত্তি ও ছড়ায় রবীন্দ্র স্মরণ
কল্যাণ অধিকারী, নিউজ অনলাইন,হাওড়া:
পঁচিশে বৈশাখ উপলক্ষে গ্রামীণ পুলিশের ব্যবস্থাপনায় আমতা ও জয়পুর এবং উদয়নারায়নপুর থানা এলাকায় অনুষ্ঠিত হল কবিপ্রণাম।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো পঁচিশে বৈশাখ দিনটায় রবিঠাকুরের ট্যাবলো এবং রবীন্দ্রসঙ্গীতের পাশাপাশি করোনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন পুলিশের কর্তাব্যক্তিরা। মাস্ক, গ্লাভস পরে আমতা সিটিসি বাসস্ট্যান্ড থেকে কলাতলা মোড় অবধি ট্যাবলো নিয়ে পদযাত্রা করা হয়। পাশাপাশি জয়পুর থানা থেকে জয়পুর বাসস্ট্যান্ড অবধি ট্যাবলো নিয়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে পদযাত্রা করা হয়। তারপর সিয়াগড়ি মোড়ে সাধারণ মানুষকে চকলেট দেন হাওড়া গ্রামীণ পুলিশের এসপি সৌম্য রায়ের সহধর্মিণী। আমতায় মাইক হাতে রবীন্দ্রসংগীত গেয়ে শোনান তিনি। উপস্থিত ছিলেন আমতা এবং জয়পুর থানার ওসি ছাড়াও গ্রামীণ পুলিশের একাধিক পদস্থ আধিকারিক।
অন্যদিকে লকডাউনের জেরে বন্ধ স্কুল। একি সঙ্গে নৃত্যের ক্লাসও বন্ধ। বাতিল হয়েছে রবীন্দ্র জয়ন্তী অনুষ্ঠান। কিন্তু অনুষ্ঠান বাতিল হলেও রবীন্দ্রনাথ রয়ে গিয়েছেন স্কুল পড়ুয়াদের মনে-প্রাণে। নিজ নিজ বাড়িতে রবীন্দ্র স্মরণে মেতেছেন ছাত্র-ছাত্রীরা। রবিঠাকুরের ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে গানকে নৃত্যের তালে তুলে ধরেছে জয়পুর থানার ধাঁইপুর গ্রামের পাঁচ বছর বয়সি তমসা অধিকারী। বাঙালির জীবনে, হৃদয়ে চিরকালই উজ্জ্বল উপস্থিতি কবিগুরু। বাবা-মা এর সঙ্গে ঘরবন্দি অবস্থায় থেকেও অংকুরে পড়াশোনা করা গাজীপুর গ্রামের আরোহি দেন রবিঠাকুরের বীরপুরুষ কবিতাটি আবৃত্তি করেছে। নার্সারিতে পড়াশোনা করা ঐহিক ভট্টাচার্য্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছড়া মোবাইলের মাধ্যমে স্কুলের শিক্ষকদের পাঠিয়েছে।
লকডাউনে সবকিছু বন্ধ। আগামী দিন কেমন হবে বোঝে না ছোট্ট তমসা, আরোহি, ঐহিক'রা। সকাল থেকে রবিঠাকুরের ছবিতে চন্দনের ফোঁটা দিয়ে রবীন্দ্রসঙ্গীত, রবিঠাকুরের আবৃত্তি ও ছড়া তেই মনোনিবেশ করেছে। হয়তো একটাদিন এভাবেই শান্তি খুঁজে পেয়েছে ওরা।
No comments