বীজপুরে এসে সংযুক্ত মোর্চার সরকার গঠনের পক্ষে সওয়াল করলেন মীনাক্ষী মুখার্জি
অনুপম সিংহরায়, নিউজ অনলাইন: বর্তমানে রাজ্য রাজনীতিতে এক পরিচিত মুখ মীনাক্ষী মুখার্জী। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তার দল সিপিএম তাকে দুজন পোড় খাওয়া রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বের বিরুদ্ধে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী) নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী করেছেন। কিন্তু তাকে দেখে কোথাও একবারের জন্যও মনে হয়নি বা হচ্ছেনা তিনি ভীত। বরং তাকে দেখে মনে হচ্ছে তিনি লড়াই করতে প্রস্তুত এবং লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে যাবেন না। মানুষকে মানুষের অধিকার বুঝিয়ে দিতেই তিনি লড়াই চালিয়ে যাবেন।
বছর ৩৬ এর মেয়ে মীনাক্ষী বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতকোত্তর করেছেন। নিজের ছাত্র জীবন থেকেই বাম রাজনীতিতে যুক্ত। বর্তমানে রাজ্য বামফ্রন্টের যুব সংগঠনের(DYFI) রাজ্য সভাপতি।
১৩ই এপ্রিল এই মীনাক্ষী মুখার্জি একদা বাম দুর্গ বলে পরিচিত বীজপুরের বুকে সভা করে গেলেন সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী সুকান্ত রক্ষিতের সমর্থনে।
মীনাক্ষী মুখার্জির বক্তব্য শোনার জন্য এদিন বাগমোড় এলাকায় মানুষ মুখিয়ে ছিল। মীনাক্ষী মঞ্চে ওঠার পর থেকে এবার সংযুক্ত মোর্চার সরকার গঠনের স্বপক্ষে একের পর এক সওয়াল করতে থাকেন। মূলত শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং দৈনন্দিন জিনিস পত্রের মূল্য বৃদ্ধির বিষয় নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি দুই সরকার কেই তুলধোনা করেন। এছাড়াও কাটমানি, সিন্ডিকেট, তোলাবাজি এই সবের বিরুদ্ধেও গর্জে ওঠেন এদিন মীনাক্ষী। এর সাথে তিনি বাম ফ্রন্টের ছাত্র যুবদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রত্যেক মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে, তাদের সাথে জনসংযোগ করতে হবে, মানুষকে বোঝাতে হবে, যেভাবে সরকারে না থেকেও করোনা এবং আমফান পরবর্তী পর্যায়ে বামফ্রন্ট মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, সরকারে থাকলে বামফ্রন্ট আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে বদ্ধ পরিকর। মীনাক্ষী জোর গলায় সাধারণ মানুষের কাছে আহ্বান জানান, "আর একবার বামফ্রন্টের হাতটা ধরে দেখুন, আমরা বেইমানি করবনা, কথা দিলাম"।
এখন দেখার ২রা মের পরে মানুষ নিজেদের বাড়ির শিক্ষিত বেকার ছেলে মেয়েটার চাকরি চায়, নাকি ৫০০ টাকা ভাতা দেওয়ার সরকার চায়?
No comments