শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা করার দাবি জানালো বাংলা সংস্কৃতির মঞ্চ
রোহিত সেখ , নিউজ অনলাইন, শান্তিনিকেতন , বীরভূম: শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা করার দাবি তুলে বাংলা সংস্কৃতির মঞ্চের তরফে বোলপুর মহকুমা শাসককে স্মারকলিপি প্রদান করা হলো। করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের আশংকা হতে পারে সেই কথা মাথায় রেখে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়ে দিয়েছে পৌষ মেলা কোন ভাবেই করা সম্ভব নয়। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় অন্যান্য মেলা হচ্ছে। তাই বাংলা সংস্কৃতির মঞ্চের তরফে স্মারকলিপিতে জানানো হয়েছে হস্তশিল্পী কাঠ শিল্পী,সহ কুটির শিল্প কে প্রাধান্য দিয়ে সুষ্ঠু হবে মেলা আয়োজন করার।
মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান আজকে সংস্কৃতি মঞ্চ থেকে তিনজন গিয়েছিল বোলপুর মহকুমা শাসকের কাছে এখানে উপস্থিত ছিলেন নুরুল হক , সোনা মুহু , মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা ইনাদের প্রধান দাবি ছিল পৌষ মেলা যে মাঠেই হয় সেই মাঠেই হোক হাসতে শিল্পীরা যেভাবেই বসতো সেই ভাবেই হোক শোনা যাচ্ছে অন্যান্য মেলাগুলো চালু হবে ফলে করোনার বাহানা না করে শান্ত শিষ্ট ভাবে পৌষ মেলা করা হোক এছাড়া Sc,ST সংখ্যালঘুদের বিভিন্ন সমস্যা তোলা ধরা হয়েছে SC,ST দের লোন গ্যারান্টার নেওয়া সমস্যা হচ্ছে। সরকারি চাকরি ছাড়া লোকদের গ্যারান্টার হচ্ছে না ও কাস্ট সার্টিফিকেট তৈরি করার ব্যাপারে এ বিষয়ে বলা হয়েছে মহকুমা শাসকের কাছে বলা হয়েছে মহকুমা শাসক আশ্বাস দিয়েছেন দুয়ারে সরকার যে প্রোগ্রাম চলছে তার মাধ্যমে অত্যন্ত সহজ ভাবে হবে।
এছাড়াও কৃষকরা যে আন্দোলন করছে কৃষি বিলের বিরুদ্ধে এই আন্দোলনে সার্বিকভাবে সমর্থন জানিয়ে এই প্রশাসনের মাধ্যমে জানিয়ে আমরা জানাতে চাইছি এই আইনকে প্রত্যাহার করা হোক এছাড়াও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এই মেলা না করলেও আমরা রাজ্য সরকারকে আমরা অবশ্যই অনুরোধ করবো এটা আমাদের বীরভূমের গর্ভ বলে যেতে পারে বাংলার গর্ভ এইভাবে যে মেলা কে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে এর বিরুদ্ধে আমরা তুমুল প্রতিবাদ করছি। শুধু এখানে বলে নয় তিনটে সদরে এই আমাদের এই ডেপুটেশন ও আমাদের আগামী দিনের আন্দোলনে যাব।
মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বলছেন কোভিদ পরিস্থিতির সত্বেও যতটা সম্ভব নিরাপত্তা নিয়ে ছোট ছোট আকারে মেলাগুলো হবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কারণে এই মেলাটা
কর্পোরেট মেলাতে পরিণত হতে চলেছে মনে হয় পুরনো অবস্থানে আছে অর্থাৎ হস্তশিল্পীদের নিয়ে মেলাটা হয় তাহলে মনে হয় এই পরিস্থিতি নিয়ম কানুন মেনেই মেলা করা সম্ভব। এই মেলা করার অনুমতি না দেওয়া হলে প্রচুর পরিমানের হস্তশিল্পীদের ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে এছাড়াও এই পদ্ধতিটা সারা পৃথিবীর কাছে যায় এটা যদি না হয় তাহলে বোলপুরের অর্থনীতির দিকে বিরাট আঘাত করবে আশা করা যাচ্ছে।
No comments