দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর খুলে গেল দীঘা মোহনার মাছ বাজার
প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, নিউজ অনলাইন: খুলে গেলো দীঘার মোহনা পাইকারি মাছ এর আরত সুরক্ষা বিধি মেনে আজ থেকে খুলে গেলো পূর্ব ভারতের সর্ব বৃহৎ দিঘা মোহনা মৎস্য নিলাম কেন্দ্র।, ১ জুলাই থেকে দিঘা মোহনার মৎস্যনিলাম কেন্দ্র ছাড়াও শঙ্করপুর, পেটুয়া ও শৌলা মৎস্য বন্দর চালু হয়ে গেলো।স্বাস্থ্য সুরক্ষার যাবতীয় শর্ত মেনেই চালু করা হলো মৎস্য নিলাম কেন্দ্র এবং বন্দর। তিনি বলেন, ‘সরকারি নির্দেশিকায় যাবতীয় সুরক্ষা বিধির কথা বলা হয়েছে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই জারি রেখেই সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন মৎস্যজীবীরা।'
দু'মাসের ‘ব্যান-পিরিয়ড’ শেষে ১৫ জুন থেকে পাইকারি মাছের বাজার সহ সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার সরকারি ছাড়পত্র মিলেছিল। কিন্তু করোনা আবহে স্থানীয় মানুষের বাধায় পিছিয়ে যায় দিঘা মোহনার মৎস্য নিলাম কেন্দ্র খোলার দিনক্ষণ।পাশাপাশি বন্ধ রাখা হয়েছিল ৩ টি মৎস্য বন্দরও। ১৫ জুনের পরিবর্তে ১ জুলাই থেকে নিলাম কেন্দ্র, বন্দর খোলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিলেন মৎস্যজীবী সংগঠকরা। স্বাভাবিক কারণে প্রস্তুতি নিয়েও ১৫ জুন থেকে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এসেছিলেন লঞ্চ-ট্রলার মালিকরা। ১৫ দিন বাদে ফের সমুদ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন মৎস্যজীবীরা।কিছু লঞ্চ-ট্রলারও ইতিমধ্যে পাড়ি দিয়েছে সমুদ্রে। পূর্ব মেদিনীপুরে সমুদ্রে মাছ ধরতে যায় ৩৬১৬ টি অনুমোদিত লঞ্চ-ট্রলার ও ভুটভুটি। লক্ষাধিক মানুষের রুটি-রুজি নির্ভরশীল এর ওপর। মহামারীর কারণে এই প্রথম পেশাগত জীবনে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়তে হচ্ছে মৎস্যজীবীদের।
মাছের সঙ্কট , দুর্যোগ সহ নানা কারণে গত মরশুমেও ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। লকডাউনের জন্য প্রস্তুতি নিতে না পারায় দেড় হাজারেরও বেশি লঞ্চ-ট্রলার ১৫ জুলাই থেকে যেতেই পারবে না সমুদ্রে।ঊর্ধ্বমুখী জ্বালানির দাম মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মৎস্য নিলাম কেন্দ্র খুললেও একই সঙ্গে সব আড়তও খুলছে না। এতে ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বহু মৎস্যজীবীর।' সবকিছুর পরও মৎসজীবীরা আশাবাদী, দীর্ঘ সমুদ্র যাত্রা বন্ধ থাকায় পরিমাণে ও গুনমানে ইলিশ উৎপাদন বাড়ার ব্যাপারে। আর সেই দিকেই তাকিয়ে দিঘার মৎস্যজীবী মহল।
No comments