আপাতত ৩০শে জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে দীঘার সমুদ্রে মাছ ধরা
প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, নিউজ অনলাইন: উপকূলের জেলা পূর্বমেদিনীপুর দীর্ঘ ৮৪ দিন ব্যান পিরিয়ড কাটিয়ে আজ জলে নামার কথা ছিল ট্রলার ও ফিসিং বোট গুলির। এই বিষয়ে নিয়ে শুরু হয় দীর্ঘ টাল বাহানা। আর এই সরকারি সিদ্ধান্ত বহু ট্রলার মালিক সংগঠনও কিছু মৎস্যজীবী সংগঠন মানতে চাননি। সেই নিয়ে চলে দফায় দফায় বৈঠক দিঘাতে ও কাঁথিতে। কিছু শাসক দলের সমর্থিত সংগঠন আবার এই বিষয়ে বিরোধিতা করে ডেপুটেশনে হাজির হয়েছিলেন।কিন্তু সরকারি সমস্ত আধিকারিক সাফ জানিয়ে দেন পদাধিকারী বলে চেয়ারে বসে ওনাদের পক্ষে কোনো ভাবে সরকারি সিদ্ধান্তের বদল করে সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমত হিমশিম খেতে হয় কাঁথি মহকুমা প্রশাসন কে। চলে বিক্ষোভ, গণস্বাক্ষর, কর্মসূচি ও শেষমেস গতকাল একটি বৈঠক হয় দিঘা মোহনাতে। হাজির ছিলেন পেটুয়াঘাট, শৌলা, শংকরপুর এবং দিঘার মোহনার ট্রলার মালিক ও মৎস্যজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা এবং রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি, প্রাক্তন বিধায়ক স্বদেশ নায়ক, দিঘা ফিসারমেন এন্ড ফিস ট্রেডার্স , সভাপতি প্রণব কর, সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস, সহ সংগঠনের প্রতিনিধিরা। সংগঠনগুলির আলোচলার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হয় যে আগামী ৩০জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ফিসিং। অর্থাৎ সরকারি সিদ্ধান্তের বিপক্ষে গিয়ে ১৫দিন পর থেকেই শুরু হবে সমুদ্র যাত্রা। এই দীর্ঘ লড়াই এর পর অবশেষে সিদ্ধান্তে পৌছলো দিঘা ফিসারমেন এন্ড ফিস ট্রেডার্স ইউনিয়ন । করোনায় আটকে গিয়েছিলো মৎস্যজীবীদের রুজি রোজগার। আগামী ১লা জুলাই খুলবে দিঘামোহনা মৎস্য বাজার , দিঘা ফিসারমেন এন্ড ফিস ট্রেডার্স ইউনিয়ন এর পক্ষথেকে রবিবার এমনটাই জানা গেছে । তবে এই ১৫ দিনেই মধ্যে কোনো ট্রলার মালিক বা মৎস্যজীবী বিক্ষিপ্ত ভাবে মোহনা বাজারে মাছ বিক্রি করতে পারবেন না।
তবে যেসব মৎস্যজীবীরা ১৫ জুনের পর থেকে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাবেন বলে আশায় ছিলেন, তাদের অবশ্য মন খারাপ তার কারন "মরসুম টা তো ইলিশের" তারা পুরোদমে প্রস্তুুতি নিয়েফেলে ছিলেন । তবে হ্যাঁ ও নায়ের মাঝে মৎস্য শিকারের দ্বিতীয় দিন ঘোষণার পর থেকে তারা এখন চরম স্বস্তিতে ।
।
No comments