হাসপাতালের সুপার সহ ৩৫ জন কোয়ারান্টাইনে, ৪টি গ্রাম সিল, আতঙ্কে ত্রস্ত হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর
কল্যাণ অধিকারী, নিউজ অনলাইন,হাওড়া:
উদয়নারায়নপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর পর স্বাস্থ্য দফতরের ঢিলেঢালা চিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এলাকার মানুষজন। অনেকেই প্রশ্ন করছে করোনা রিপোর্ট পেতে বহু সময় ব্যায় নিয়ে। ততক্ষণে আরও অনেকেই আক্রান্ত হয়ে পরবার আশংকা থেকে যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পয়লা মে উদয়নারায়নপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর মৃত্যু হয় ৮তারিখ শুক্রবার রাতে। দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ১৪ এপ্রিল কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। ওই বেসরকারি হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরে গত মঙ্গলবার থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় পিয়ারলেস হাসপাতাল। এরপরই ওই রোগীকে পিয়ারলেস হাসপাতাল থেকে আনা হয় উদয়নারায়ণপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। ওখানেই ৮তারিখ রাতে মৃত্যু হয়। তার একদিন পর ৯তারিখ রাতে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ৬দিন সময় লাগে রিপোর্ট আসতে। এতটা সময় লাগা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ওই পরিবার উদয়নারায়ণপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানোর সময় তথ্য গোপন করা হয়েছিল। এবং উনি কলকাতাতে ভর্তি থাকার সময় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদয়নারায়নপুর এলাকার ওই ব্যক্তির বাড়ির এলাকা সহ চারটি গ্রাম সিল করে দিয়েছে। আপাতত উদয়নারায়ণপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে রোগী ভর্তি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের সুপার সহ মোট ৩৫জনকে কোয়ারান্টাইন করা হয়েছে। সোমবার এই ৩৫জনের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। আপাতত এলাকাজুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ।
উদয়নারায়নপুর বিডিও রামজীবন হাঁসদা জানান, হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি বন্ধ। রোগীদের সরানো হয়েছে। ১৬-১৭জন রোগী এখনও আছেন। ওঁনারা যেতে চাইছেন না। ২টি স্প্রে মেশিন দিয়েছি। হাসপাতালের সুপার হাসপাতালে স্প্রে করিয়ে নিচ্ছেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মৃত ব্যক্তির বয়স ৫৬। পেশায় গ্রামীণ চিকিৎসক। বাড়ি উদয়নারায়নপুর থানার খিলা গ্রামে। হাওড়া শিবপুর বার্নিং ঘাটে দেহ সৎকার করা হয়। আপাতত পরিবারের লোকজন হোম কোয়ারান্টাইনে আছে।
No comments