দক্ষিণ দামোদর এডুকেশন এন্ড ওয়েলফেয়ার সোস্যাইটির উদ্যোগে প্রচুর পরিযায়ী শ্রমিক ফিরল ঘরে
কল্যাণ দত্ত, নিউজ অনলাইন: রাজধানী দিল্লি কিংবা দক্ষিণ ভারতের হায়দ্রাবাদ, কোট্টায়ামের মতো বিভিন্ন শহরে কর্মরত অসংখ্য শ্রমিক নিজেদের গ্রামে ফিরতে চাইছেন – সে জন্য তারা ট্রেন বা বাস, ট্রাক, যে কোনও ধরনের পরিবহনের ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছেন।
ভারতের এই যে লক্ষ লক্ষ অভিবাসী শ্রমিক ঘরে ফিরতে এতটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, তার প্রধান কারণ তারা আশঙ্কা করছেন বড় বড় শহরগুলোতে রুটিরুজি হারিয়ে দু-মাসের লকডাউনে তাদের এখন স্রেফ না-খেতে পেয়ে মরতে হবে।
দেশের অসংগঠিত খাতের কোটি কোটি শ্রমিক, যারা ছোটখাটো দোকান-রেস্তোরাঁয় কাজ করেন কিংবা নির্মাণ শিল্পে দিনমজুরের কাজ করেন তারা এই নির্দেশ পালন করার সাহস দেখাতে পারেননি।
বস্তিতে বাড়িভাড়া কীভাবে দেবেন, এতগুলো দিন কীভাবে নিজের বা পরিবারের পেট টানবেন – সেই চিন্তাতেই তারা ‘যা হবে হোক’ ভেবে পথে বেরিয়ে পড়েছিলেন।
ট্রেন, বাস নেই – তারপরও শত শত মাইল দূরে নিজের গ্রামের উদ্দেশে তারা হাঁটতে শুরু করে দিয়েছিলেন সেদিন থেকেই।
এমত অবস্থায় পূর্ব বর্ধমানের দক্ষিণ দামোদর এডুকেশন এন্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটি উদ্যত হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে। সংগঠনের সম্পাদক আমিরুল আলি জানান- পূর্ব বর্ধমান জেলার কংগ্রেস কার্যকরী সভাপতি অভিজিৎ ভট্টাচার্য ও বর্তমান সাংসদ শ্রী অধীর রঞ্জন চৌধুরীর সহযোগিতায় এখন পর্যন্ত আমরা গোয়া, তামিলনাড়ু,মহারাষ্ট্র থেকে প্রায় এগারো হাজার মানুষকে ফিরিয়ে এনেছি।পূর্ব বর্ধমানের পাশাপাশি হুগলি,বাঁকুড়া,বীরভূম ও মুর্শিদাবাদের পরযায়ী শ্রমিকদের আমরা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। অন্য রাজ্য থেকে শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি এরাজ্যে আটকে পড়া ভিন রাজ্যের শ্রমিকদেরও আমরা পৌঁছে দেওয়ার যথাসম্ভব প্রয়াস করে যাচ্ছি।
উল্লেখযোগ্য উড়িষ্যা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্রী সরোদ রাওয়ের আহবানে উড়িষ্যা থেকে এ রাজ্যে আটকে পড়া ২৫ জন শ্রমিককে আজ আমরা ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করলাম।
No comments