দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ফের খোঁজ মিলল ২ করোনা আক্রান্তের
শিব শঙ্কর চ্যাটার্জি, নিউজ অনলাইন,বালুরঘাট: দক্ষিণ দিনাজপুরে আবারও সন্ধান মিলল দুই করোনা আক্রান্তের। দুজনকেই বালুরঘাট করোনা হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।এদের দুইজনের মধ্যে একজনের বাড়ি কুশুমন্ডি ব্লকের মালিগাও এলাকায়। অন্যজনের বাড়ি কুমারগঞ্জ ব্লকের মোহনা এলাকায়। দুজনেই পারিযায়ী শ্রমিক বলে জানাগেছে। এই দুই আক্রান্তকে ধরে এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫। আগের ৩ জনই কুশমন্ডি ব্লকের বাসিন্দা।
গত বুধবার মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরফে পাঠানো রিপোর্ট অনুযায়ী কুশুমন্ডি ব্লকের মালিগাও এলাকার এই পারিযায়ী শ্রমিকের করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে ।জানা যায়, কর্মসূত্রে হরিয়ানা থেকে গত ক'দিন আগেই কুসুমন্ডি ব্লকের বাড়িতে ফিরেছিল ওই যুবক। তার সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ এসছে। বর্তমানে আক্রান্ত যুবককে কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্য।তার সংস্পর্শে আসা পরিবারের লোকজনদের কোয়ারাইন্টাইন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অপরদিকে দিনকয়েক আগে কুমারগঞ্জ ব্লকের মোহনা পঞ্চায়েতের ওই শ্রমিক যুবক বারাসাত থেকে আরও ৬-৭ জনের সঙ্গে গাড়ি নিয়ে কুমারগঞ্জে ফিরেছিল বলে জানা গেলেও স্থানিও সুত্রে অবশ্য জানা গেছে তিনি তার শ্বশুড়বাড়ি অসমের হোজাই থেকে বাড়িতে সদ্য ফিরে এসেছিলেন । উল্লেখ থাকে অসমের হোজাই তে ব্যাপক হারে করোনার সক্রমনের সন্ধান পাওয়া গেছিল।এদিকে তার পরিবারের সদস্যদের লালারসের নমুনা সংগ্রহের পর প্রত্যেককেই হোম কোয়ারান্টিনে পাঠানো হয়েছে।
সুত্র মারফৎ জানা গেছে বৃহস্পতিবার রাতে শিলিগুড়ি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পাঠানো ব্যাকলগ রিপোর্ট থেকে এই শ্রমিকের লালা পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে। শুক্রবার ভোরেই প্রশাসন ওই ব্যক্তিকে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়েছে।
যদিও এই রিপোর্ট নিয়ে এখনও অব্দি কোনো মন্তব্য করতে চাননি প্রশাসনিক কর্তা থেকে শুরু করে জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক।তবে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে আজ বিকেলের দিকে এব্যাপারে প্রেস রিলিজ দেওয়া হবে।
অন্যদিকে জেলায় প্রায় প্রতিদিন ভিন্ন রাজ্য থেকে পারিযায়ী শ্রমিকদের আসা অব্যাহত। উল্লেখ থাকে এর আগে গ্রীন জোনে থাকা এই জেলায় পারিযায়ী শ্রমিকদের না ঢোকা পর্যন্ত কোন করোনা সক্রমনের সন্ধান মেলেনি। তাই তাদের ঘরে ফেরা নিয়ে ক্রমশই ক্ষোভ বাড়ছে জেলাবাসির মধ্যে।
No comments