আমফান ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরে প্রশাসনিক বৈঠক করলেন বনমন্ত্রী রাজিব ব্যানার্জি
শিব শঙ্কর চ্যাটার্জি, নিউজ অনলাইন, বালুরঘাট: মালদা ও উত্তরদিনাজপুর জেলার পর আমফান ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আজ দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রশাসনিক বৈঠক করলেন বনমন্ত্রী রাজিব ব্যানার্জি। প্রশাসনিক বৈঠকের পাশাপাশি এদিন তার দলের জেলা নেতৃত্বর সাথেও একপ্রস্থ বৈঠকে বসেন এই জেলার দলের ভারপ্রাপ্ত নেতা রাজীব ব্যানার্জী।
বুধবার বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরের বালুছায়া সভাকক্ষে এই প্রশাসনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিনের এই প্রশাসনিক সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভার সাংসদ তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের সহ সভাপতি অর্পিতা ঘোষ, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাসদা, ম্যাকিণতোর্স বার্ণ লিমিটেডের চেয়ারম্যান শংকর চক্রবর্তী, মালদা ও দক্ষিণ দিনাজপুর রেঞ্জের ডি.আই.জি প্রসূন ব্যানার্জি, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা রায়, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জেলা শাসক নিখিল নির্মল, জেলা আরক্ষাধিক্ষক দেবর্ষি দত্তসহ জেলার অনান্য প্রশাসনিক আধিকারিক গন।
বৈঠক শেষে বন মন্ত্রী জানান তিনি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জেলায় আমফানের ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখতে এসেছেন। বৈঠকে প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিকট থেকে জানতে পেরেছি প্রায় ১৮ হাজার লোক ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও জেলায় প্রানীসম্পদ দফতরের বেশ কিছু শেড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে পি এইচ ই রো কিছু ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায় নি জেলার বনদফতর ও। এছাড়াও প্রায় প্রতিদিন ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে।গতকালও ঝড় বৃষ্টিতে বেশ কিছু ক্ষয় ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।৩০০ মিলিমিটারের মত ঝড় বৃষ্টিতে জেলার কৃষিতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাই সব দিক বিবেচনা করে আমরা ঠিক করেছি যে তাড়াহুড়ো করে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি না করে একটু সময় ধরে সব খোজখবর নিয়ে সঠিক তালিকা তৈরি করে তবেই মুখ্যমন্ত্রীর নিকট পাঠানো হোক। কেননা মুখ্যমন্ত্রী সর্বদা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে রয়েছেন। তাই ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তালিকা তার কাছে পৌছলে সেক্ষেত্রে তিনি সব কিছু বিবেসচনা করে জেলায় সঠিক অর্থরাশি ত্রানের জন্য পাঠাবেন বলে আমরা আশা রাখি বলে বনমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠকে জানান।
যদিও তিনি দলিয় বৈঠক নিয়ে একটি শব্দ খরচ করেন নি। তবে দলের অন্দরমহল সুত্রে জানা গেছে আগামী বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে দলের যাবতীয় কোন্দল মিটিয়ে সবাইকে এক হয়ে চলার কথা উপস্থিত জেলা তৃনমুল নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছেন। আরও জানা গেছে সভায় বেশ কিছু সদস্য দলের অন্দরের ক্ষোভ বিক্ষোভ নিয়ে কিছু বলার চেষ্টা করলে তাদের মাঝ পথেই থামিয়ে দিয়ে যাবতীয় বিভেদ ভুলে রক হয়ে চলার কথা তাদের বার বার বলা হয়। এদিকে সভা শেষে হল থেকে বেড়িয়ে অনেক নেতাকেই তাদের অনুগামীদের কাছে এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখা যায়।এদিকে বৈঠক শেষ করেই মন্ত্রী আজ মালদার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান।
No comments