Recent comments

ads header

Breaking News

মিড ডে মিলের উদ্বৃত্ত খাদ্য ফেরত নেওয়াকে কেন্দ্র করে বেঁধে গেল পৌরসভা ও স্কুলের সংঘাত

সৌভিক সরকার, নিউজ অনলাইন: রাজ্যের সব প্রাথমিক ও উচ্চবিদ্যালয়  মিডডে মিলের সরকারি  নির্দেশিকা  মেনে লক ডাউনের মধ্যে   চাল আলু বিতরণ  কর্মসূচি শেষ হতে না হতেই বারাসাতে দেখা দিল অভূতপূর্ব সংকট। মিড ডে মিলের  উদ্বৃত্ত খাদ্য ফেরত নেওয়াকে কেন্দ্র করে বেঁধে গেল  পৌরসভা ও স্কুলের সংঘাত। সোমবার  বারাসাত পৌরসভার সঙ্গে বারাসাতের কালীকৃষ্ণ উচ্চ বালিকা  বিদ্যালয়ের সঙ্গে সংঘাত চরমে পৌছায়   মিডডে মিলের চাল আলু ফেরত নেওয়াকে ঘিরে।বারাসাত পৌরসভার  পুরপ্রধান সুনীল মুখার্জি ও কালীকৃষ্ণ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী সেনগুপ্তের মধ্যে চাপানউতোর তুঙ্গে। আলু পচছে, চাল পড়ে আছে স্কুলে।সমাধানসুত্র দুরস্ত। 


রাজ্য তথা উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বিভিন্ন স্কুলে লক ডাউনের সময়  মিডডে মিল বিলি বন্টন প্রায় শেষ। মাসে চারদিন ধরে প্রতি স্কুলে  পালা করে একবার চাল ও আলু তুলে দেওয়া হয়েছে ছাত্র ছাত্রীর পরিবারের হাতে। অনেক অভিভাবক  লক ডাউনে আটকে থাকায় ও অন্য বহুবিধ কারণে মিড ডে মিলের জন্য স্কুলমুখী হতে পারেন নি। বেঁচে গেছে চাল ও আলু। আর তা ফেরত দেওয়া নিয়েই  কালীকৃষ্ণ বালিকা বিদ্যালয় ও বারাসাত পৌরসভার কাজিয়া তুঙ্গে। প্রধান শিক্ষিকা ও পুরপ্রধান একে অপরকে দুষছেন। দুপক্ষ  দুপক্ষের  বিরুদ্ধে  অভিযোগ করছেন নিয়ম মেনে  সই সাবুদ না করে উদ্বৃত্ত খাদ্য হস্তান্তরের। 

কালীকৃষ্ণ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী সেনগুপ্ত পৌরসভার এক কর্মীর বিরুদ্ধে অভব্যতার অভিযোগ তুলেছেন। তার দাবী উদ্বৃত্ত খাদ্য তিনি সই সাবুদ করিয়ে নিতে চেয়েছেন বলেই তাঁকে কার্যত হেনস্থা করা হচ্ছে। তাঁর আরো অভিযোগ, বারাসাত পৌরসভার মিড ডে মিলের ইনচার্জ আপাদমস্তক ভদ্রলোক হওয়া স্বত্বেও সংকট তৈরি করেছেন পুরপ্রধান। তাঁর বক্তব্য  তিনি স্বচ্ছতা মেনে চলেন। মৌসুমী সেনগুপ্তের অভিযোগ  পুরপ্রধান সুনীল মুখার্জীর অঙ্গুলিহেলনে খাদ্য ফেরত নিতে চাইছে না। 

বারাসাত পৌরসভার পুরপ্রধান সুনীল মুখার্জী জানিয়েছেন পৌরসভার অধীনে ৭২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২৬টি উচ্চ বিদ্যালয়ের মধ্যে কালীকৃষ্ণ উচ্চ  বালিকা বিদ্যালয়  ছাড়া কোথাও কোনো অসুবিধে হয় নি।তাঁর মতে, এই সমস্যার কারণ স্বয়ং প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী সেনগুপ্ত।  বিলি বন্টন বা উদ্বৃত্ত দ্রব্য ফেরত দেওয়া নিয়ে সব স্কুল পুরসভার সাথে নিয়ম মেনে কাজ করেছে। সুনীল মুখার্জী  কালীকৃষ্ণ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার দাবী ও অভিযোগ নস্যাৎ করে জানান চাল আলুর পরিমান বুঝে নিয়ে সই সাবুদ করতে চেয়ে প্রধান শিক্ষিকার রোষের মুখে পড়ে পৌরসভার কর্মী। শুধু তাই নয় পৌরসভার কর্মীদের  হুমকি দিতেও  কসুর করেন নি প্রধান শিক্ষিকা বলে অভিযোগ পুরপ্রধানের।

No comments