তান্ত্রিকের স্বপ্ন সাধনা সিদ্ধ করার জন্য প্রাণ গেল এক শিশুর, আরও এক উচ্চমাধ্যমিক ছাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক
নিউজ অনলাইন: বসিরহাট মহকুমার স্বরুপনগর থানার কাবিলপুর গ্রামের ঘটনা । বছর ৬২র বৃদ্ধা তার স্বপ্ন সাধনা সিদ্ধি করার জন্য স্বপ্নাদেশ পায়, সাতটি প্রাণ নিতে হবে, অভিযোগ প্রতিবেশীদের। প্রায় তিন বছর ধরে ওই এলাকায় তন্ত্র সাধনা করছেন আল্পনা ঘোষ ।স্বামী নিত্য নন্দ ঘোষ, পেশায় কৃষক,তার স্ত্রীর তন্ত্রসাধনায় স্বামীর প্রত্যক্ষ মদত আছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। দীর্ঘদিন ধরে বহু দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় জমাতো ঘোষ পরিবারের বাড়িতে। উদ্দেশ্য একটাই তাদের স্বপ্ন পূরণ হবে। প্রতিবেশী দু মাস আগে তিন বছরের শিশু রনি ঘোষ কে সুস্থতা করার নাম করে তাকে অতিরিক্ত শিকড় ও রাসায়নিক খাইয়ে তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে ছিল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানেই মারা যায় ওই শিশুটি।
একই অবস্থার সম্মুখীন হতে চলেছে কাবিলপুর গ্রামের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর রিংকি ঘোষ। তার শারীরিক গঠন ভালো করে দেওয়ার নাম করে তন্ত্র সাধনার জন্য অতিরিক্ত রাসায়নিক খাইয়েছে। সে এখন আর জি কর হাসপাতালে ভর্তি আছে। সে এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ।এই ঘটনার খবর গ্রামে পৌঁছাতেই মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়ে ।ওই তান্ত্রিক এর বাড়িতে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত গ্রামবাসীরা এমনকি আসবাবপত্র থেকে চারচাকা গাড়ি ও বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে গ্রামের মানুষ। ঘটনাস্থলে স্বরুপনগর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও, দফায় দফায় ভাঙচুর চালাচ্ছে গ্রামবাসীরা। তান্ত্রিক আল্পনা ঘোষ ও তার স্বামী নিত্যানন্দ ঘোষ বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। একবিংশ শতাব্দীতে আজও মানুষ অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসতে পারিনি, তার জ্বলন্ত উদাহরণ কাবিলপুর গ্রামের এই ঘটনা। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে স্বরুপনগর থানার পুলিশ। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্যাপ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় এখন উত্তেজনা রয়েছে।
No comments