Recent comments

ads header

Breaking News

একপ্রকার পড়াশুনা বন্ধ হতে বসেছিল পাঁশকুড়ার ছাত্রীর, অবশেষে হাত বাড়িয়ে দিলেন সাংসদ তথা অভিনেতা দেব

প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, নিউজ অনলাইন: 
স্বপ্ন ছিল উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার। বাবা-মা চেয়েছিলেন এক মেয়েকে শিক্ষা দীক্ষায় বড় করে ডাক্তার কিংবা এ্যাডভোকেট করতে। কিন্তু সমস্ত স্বপ্নের জল ঢেলে দিয়েছে আর্থিক অনটন। বছর দশেক আগে বাবা অসুস্থ হওয়ার পর  পা কেটে বাদ দিতে হয়। তারপর থেকে দীর্ঘদিন বাড়িতে। মা এর বাড়ি ওর বাড়ি পরিচারিকার কাজ করে কোনক্রমে দিনযাপন। বাড়িতে চারজনের সংসার। খুব কষ্টেই দিন কাটতো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া ব্লকের ময়নাডাল গ্রামের জয়শ্রী রানার। মাধ্যমিক দেওয়ার পর পুরো সংসারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন মেধাবী ছাত্রী জয়শ্রী। গ্রামে টিউশনি পড়িয়ে মা, বাবা ,ভাই  কে দু'মুঠো অন্ন তুলে দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করে আসছিলো সে। ভাইয়ের পড়াশোনার খরচ বাবার ওষুধ সমস্ত দায়-দায়িত্ব ছিল জয়শ্রী মাথার উপর।এরমাঝেও নিজের পড়াশোনা বন্ধ রাখেনি জয়শ্রী। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় 365 নম্বর পায় সে। এবার কলেজ জীবন শুরুর পালা। কিন্তু কলেজের পড়াশোনার খরচ বহন করার মতোন পরিস্থিতি নেই জয়শ্রীর পরিবারের। এক প্রকার জয়শ্রী জীবন থেকে পড়াশুনোর ভাবনা মুছে যেতে বসেছিলো, ভেবেছিলো আর পড়াশোনার রথ এখানেই হয়তো ইতি টানতে হবে। কারন জয়শ্রীর চোখে একটাই স্বপ্ন উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া। সেই মতন বাংলা অনার্স নিয়ে পড়তে চেয়েছিল জয়শ্রী। পাঁশকুড়া কলেজে ফর্ম ফিলাপও করে। এ্যাডমিশন হয়ে যায়  জয়শ্রী কিন্তু অ্যাডমিশন ফি বা পড়াশোনার খরচ চালাবে কি করে! সেই নিয়েই ছিলো আশঙ্কা জয়শ্রীর। নিজেই গ্রাম পঞ্চায়েতের ও পাঁশকুড়া   তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভানেত্রী অনামিকা ব্যানার্জি  সাথে যোগাযোগ করেন। কিছুটা আশ্বস্ত পেয়েছিলেন জয়শ্রী। এরপর ঘাটালের সাংসদ দীপক( দেব) অধিকারী সংসদ প্রতিনিধিরা যোগাযোগ করেন। বিষয়টি জানতে পেরে সংসদ তথা অভিনেতা দীপক( দেব )অধিকারী নিজে জয়শ্রীর পাঁশকুড়া কলেজে অ্যাডমিশন ফি নিজে দিয়ে ওই ছাত্রীকে ভর্তি করেন। এবং জয়শ্রীর পড়াশোনা কোন রকম অসুবিধা হলে সাংসদ নিজেই দেখবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। জয়শ্রী মা উমা রানা এবং বাবা অম্বরনাথ রানা  বলেল যে সাংসদ দীপক (দেব)অধিকারী দেবদূত হয়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা খুব উপকৃত হলাম। আমাদের খুব দুশ্চিন্তা ছিলো হয়তো আমরা আর আমাদের মেয়েকে পড়াশোনা করাতে পারতাম না ।আমাদের মেয়ের পড়াশোনার বন্ধ হতে বসেছিল কিন্তু সাংসদের সহযোগিতা করায় আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখছে  জয়শ্রী।
এক প্রকাশ সংসদের সহযোগিতায় নতুন করে স্বপ্ন দেখছে জয়শ্রী।

No comments