Recent comments

ads header

Breaking News

করোনায় "এগিয়ে বাংলা" রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের

বিশ্বজিৎ সরকার, নিউজ অনলাইন: 
শিলিগুড়িতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন যে করোনা পরিস্থিতির কারণে চার মাসের বেশি লকডাউন চলছে। ফলে আমাদের সাংগঠনিক যে গতিবিধি কার্যসূচি আমরা বন্ধ রেখেছিলাম। সেগুলো হচ্ছিল ভার্চুয়াল রেলি,ভিডিও কনফারেন্স,অডিও কনফারেন্সের  মাধ্যমে। এই সংকটের সময় আমাদের দলের কর্মীরা মানুষের সেবা কলেছেন। খাওয়া দাওয়া করিয়েছেন,চিকিৎসা করিয়েছেন।  মূলত আমি আমাদের কর্মীদের সাথে দেখা করতেই এসেছি। চারমাস পর দেখা করছি। এরপর তিনি বলেন যে করোনাকে আটকানোর জন্য লকডাউন হচ্ছে না লকডাউন হচ্ছে শুধু বিজেপিকে আটকানোর জন্য। এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন যে যখন কেন্দ্রীয় সরকার যখন প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য। তখন প্রতিনিধি দলের সাথে সহযোগিতা না করে বিরোধ করেছে রাজ্য সরকার। এবং বাকী রাজ্যেও প্রতিনিধি দল গিয়েছিল। সেখানে লাভ পেয়েছে মানুষ। এখানে শুরু রাজনীতি করে। এবং প্রধানমন্ত্রী পাঁচ থেকে ছয় বার সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। কিন্তু আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে যান না। এবং আর যখন ভিডিও কনফারেন্সে থাকে তখন শুধু টাকার দাবি করেন। আর তা তাছা তিনি কিছু বলেন না। নার্সিংহোমগুলিতে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য মোটা টাকার বিল করা হচ্ছে। সে বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন নার্সিংহোমগুলি রোগীদের চিকিৎসা হবেনা বলে ধমক দিচ্ছে। কোথাও কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। আমরা ভগবানের ভরসায় বেচে আছি। যার টিকিট কনফার্ম হচ্ছে সে চলে যাচ্ছে। যার হয়নি তারা অপেক্ষা করছে। আর দিন দিন করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। করোনাতে এগিয়ে বাংলা। দিদিমণির স্লোগান এগিয়ে বাংলা এইটা আমরা দেখতে পাচ্ছি করোনার সময়। আপনি প্রথমেই ঢিলাঢালা ছেড়ে দিয়েছেন। কেউ লকডাউন মানেনি। স্বাভাবিক সংক্রম হয়ে গেছে। তার যদি সপ্তাহে দুদিন করে লকডাউন করে লাভ হয় তাহলে লাভটাতো দেখা চাই। আর এই লকডাউনের তারিখ যদি চারবার পরিবর্তন হয় ধরে নিয়ে লোক দেখানো লকডাউন। এর জন্য ফলও পাওয়া যাচ্ছে না। লকডাউন করা হলে তিথি,বার,তারিখ কিছু দেখা দরকার নেই। আর আপনি ঈদ মহরনের দিন ছেড়ে দেবেন। এবং রাম মন্দিরের প্রতিষ্ঠার দিনে লকডাউন করবেন। তাও লোক মেনেছে মন্দির থেকে পুলিশ গিয়ে মানুষদের তুলে এনেছে পিটতে পিটতে এখনও পর্যন্ত জেলে আছে। এইটা চলতে পারে না। এখানেও আমাদের কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। মানুষতো লকডাউন মেনে ছিল মন্দিরে পূজা কড়াও বারণ আছে নাকি। বাড়িতে রান্না করা বারণ আছে নাকি আচার্য এইটা কি সরকার চলছে। আর রাজ্য সরকার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সিরিয়াস নয়। তাই সংক্রমণ বাড়ছে।

No comments