প্রতি বছর ফুটবল প্রেমী দিবস আসলেই বাবার কথা স্মৃতি বিজড়িত হয়ে ফিরে আসে বালুরঘাটের সুব্রত বসুর কাছে
শিব শঙ্কর চ্যাটার্জি, নিউজ অনলাইন: ক্রীড়াপ্রেমী বাবাকে হারানোর ৪০ টা বছর পার করে এলেও আজও ভুলতে পারে না বালুরঘাটের সাহেব কাছাড়ি পাড়ার সেই সময়ের ক্লাস সিক্সে পড়া বসু পরিবারের ছোট ছেলে সুব্রত বসু । ছোট্ট বেলার বাবা কে হারানোর স্মৃতি এখনও তাকে তাড়া করে বেড়ায়।তাই তো আজকের দিনটা তার কাছে যেমন অনান্য দিন থেকে আলাদা।।তেমনী সারা দিনটাই চলে পরিবারের সাথে খেলা প্রেমী বাবাকে নিয়ে রোমন্থন। সালটা ছিলো ১৯৮০। ইডেনের দর্শক পুর্ন মাঠে খেলা চলছিল ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের ফুটবল ম্যাচ। হঠাৎ করে কোন একটি বিষয় নিয়ে দুই দলের সমর্থক ও খেলোয়াড়দের মধ্যে গন্ডগোল শুরু হয়ে যায়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্কিত দর্শকদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় হুড়োহুড়ি । সেই ঘটনায় পদপিষ্ট হয়ে চলে যায় ১৬ টি তরতাজা প্রাণ। সেই ১৬ জন ফুটবল প্রেমী শহীদদের মধ্যে ছিলেন বালুরঘাটের বাসিন্দা সনৎ বসুও। তারপর থেকেই ১৬ আগষ্ট দিনটি সেই সমস্ত শহীদ হওয়া ফুটবলপ্রেমীদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে আজকের দিনটি পালন করা হয় ফুটবলপ্রেমী দিবস হিসেবে।প্রয়াত সনৎ বসুর বাড়ি গিয়ে আজ দেখা গেল এই ক্রীড়া প্রেমী শহীদের বিধবা স্ত্রী আজও তার ফটো আগলে স্মৃতি রোমন্থন করে চলেছেন। প্রয়াত সনৎ বসুর পুত্র স্কুল শিক্ষক সুব্রত বসু তার বাবার ছবির সামনে পুষ্পার্ঘ্য জড়িয়ে তার বাবার স্মৃতি তর্পণ করে চলেছেন। প্রতি বছর সারা বাংলা জুড়ে বিভিন্ন সংস্থা ফুটবলপ্রেমী দিবস হিসেবে এই ১৬ জন ক্রীড়া শহীদ কে স্মরণ করে থাকেন। করোনা সংকটের মাঝেও বাংলার ক্রীড়াপ্রেমীরা ১৬ জন ক্রীড়া শহীদ স্মরণ করেছেন। তারি মাঝে সনৎ বসুর পরিবার ৪০ বছর ধরে এই ক্রীড়া শহীদদের স্মরণ করে চলেছেন নীরবে-নিভৃতে। সনৎ বসুর ছেলে সুব্রত বসুর ও তার পরিবারের এই দিনটিতে একটাই বার্তা সবার কাছে পৌছে দিতে চান। খেলা টা যেন খেলাই থাকে , খেলাকে ঘিরে আর যেন কোন পরিবারকে তাদের মত স্বজনহারা হতে না হয়।
No comments