Recent comments

ads header

Breaking News

কচু শাকের উপকারিতা

কল্যাণ দত্ত, নিউজ অনলাইন: অতি পরিচিত একটি শাক হলো কচু শাক । বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে কচুশাক খুবই জনপ্রিয়। কারণ বাড়ির উঠোনের কোণে, ধানের ক্ষেতে, বিলের ধারে যত্রতত্র বিনা যত্নে জন্মে বলে কচুশাক সহজেই, পাওয়া যায়, কিনে খেতে হয় না। কচুগাছ জলাভূমি ও শুকনো দু ধরনের জায়গাতেই জন্মায়।
কচু একধরনের কন্দ জাতীয় ফসল। কচু মানুষের দ্বারা চাষকৃত প্রাচীন উদ্ভিদগুলোর মধ্যে একটি। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব এলাকায় কম বেশি কচু দেখতে পাওয়া যায়। রাস্তার পাশে, বাড়ির আনাচে কানাচে, বিভিন্ন পতিত জমিতে অনাদরে-অবহেলায় অনেক সময় কচু হয়ে থাকতে দেখা যায়। বহু জাতের কচু রয়েছে। কিছু কিছু জাতের কচু রীতিমত যত্নের সাথে চাষ করতে হয়। আমরা জানি  কচুর অনেকগুলো জাত মানুষের খাবারের উপযোগী নয়।  কচুর মূল, শেকড়,লতি, পাতা ও ডাঁটা সবই মানুষ খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। সবজি হিসেবে কচুর জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা বহু দিন ধরে। সবজি হিসেবে ব্যবহার ছাড়াও সৌন্দর্যের কারণে কিছু কিছু প্রজাতির কচু টবে ও বাগানে চাষ করা হয়। 
 স্থলভূমি ও জলভুমি উভয় স্থানে কচু জন্মাতে পারে। তবে স্থলভাগে জন্মানো কচুর সংখ্যাই বেশি। কচুর বহু আয়ূর্বেদীয় গুনাগুন আছে বলে দাবি করা হয়। প্রজাতিভেদে কচুর মুল, শিকড় বা লতি, পাতা ও ডাটা সবই মানুষের খাদ্য। কচু শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকায় রাতকানা রোগ প্রতিরোধে এটি অত্যন্ত উপকারী।
কচুরও রয়েছে নানান প্রজাতি। বেশির ভাগ কচুগাছ চাষ করতে না হলেও কিছু কিছু কচু খুব যত্ন নিয়ে চাষ করা হয়। কিছু কচুপাতা দেখতে অদ্ভুত বা রঙিন বলে সেগুলো বাগানে পাতাবাহার হিসেবেও স্থান পায়।  প্রায় দু হাজার বছর আগেও কচু চাষ করা হতো। কচুগাছের পাতাকেই শাক হিসেবে খাওয়া হয়। কচুগাছের মূলত সবকিছুই ভক্ষণযোগ্য। কচুগাছের মূলেই আসলে কচু থাকে। এটাকে সাধারণত কচু মুখী বা মুখী কচু বলা হয়ে থাকে। কচুগাছের মূল ও পাতা ছাড়াও এর ডাল, কান্ড, ফুল, লতি – সবই খাওয়া হয়।  এছাড়াও ভর্তা ও ভাজি করেও কচুগাছের বিভিন্ন অংশ খাওয়া হয়। কচুশাক বিভিন্নভাবে খাওয়া হয়। 
যেখানে সেখানে জন্মে এবং খুব বেশি সহজলভ্য বলে কচুশাককে অনেকেই গুরুত্ব দিতে চান না। কিন্তু এই কচু শাকই দৈনন্দিন পুষ্টি চাহিদার অনেকখানি পূরণ করতে পারে।  এতো গুন থাকা সত্ত্বেও গ্রাম বাংলার এদিক ওদিক বেড়ে ওঠা মানকচু আজও অবহেলিত।

No comments