হাড়োয়ার গোপালপুর গ্রামে গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ এলাকার বেশ কিছু দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে
সৌভিক সরকার, নিউজ অনলাইন:
আবারও দুষ্কৃতীর হাতে নির্যাতনের শিকার হতে হল আদিবাসী সম্প্রদায়ের এক গৃহবধূকে। রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মেছো ভেড়ির আলা করে গণধর্ষণ করে অর্ধনগ্ন অবস্থায় হাত, মুখ বেঁধে ফিশারি পাশে ফেলে রেখে দিলো ওই দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে হাড়োয়া থানার এক নম্বর গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুন্সিঘেরির ছয়ানী বাজার সংলগ্ন।
অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরে এই ছয়ানি বাজারে রাজনৈতিক সংঘর্ষ ঘটেই চলেছিল। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার গভীর রাতে বাজারে বোমাবাজি করে একদল দুষ্কৃতীরা। এই বোমাবাজির পরে এলাকার বেশ কিছু মানুষেরা ভয় ধর ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে যায়। এরপর গ্রামের ওই গৃহবধূ তার স্বামীকে খুঁজে বাইরে বের হয় তখন মন্টু কাহার, জগবন্ধু দাস (কেলো), শুকদেব দাস সহ বেশ কয়েকজন ওই গভীর রাতে গৃহবধূকে তুলে নিয়ে গিয়ে একটি মেছো ভেড়ির আলা ঘরের মধ্যে নিয়ে গিয়ে হাত ও মুখ বেঁধে গণধর্ষণ করে। তারপর রাতেই ওই আলা ঘরের পাশে ফিশারির বাঁধের উপর ফেলে রেখে দেয়।সকালবেলায় স্থানীয়রা হাত-মুখ বাঁধা অর্ধনগ্ন ওই গৃহবধূকে দেখতে পায়। সঙ্গে সঙ্গে তারা খবর দেয় হাড়োয়া থানায়। হাড়োয়া থানার পুলিশ এসে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাড়োয়া হাসপাতালে ভর্তি করায়। বধূর অবস্থা বর্তমানে সঙ্কটজনক বলে জানা গেছে হাসপাতাল সূত্রে। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে পুলিশকে আটকে বিক্ষোভ দেখায় এলাকার মহিলারা। এলাকাবাসীদের দাবি গতকাল রাতে গন্ডগোলের সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ ছিল পুলিশের সামনে থেকেই ওই গৃহবধূকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে, পুলিশ ঘুষ খেয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের আরও দাবি দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত সাজা দিতে হবে
No comments