প্রথমদিকে গ্রীন জোনে থাকা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দেখে চিন্তার ভাঁজ প্রশাসনের
শিব শঙ্কর চ্যাটার্জি, নিউজ অনলাইন: করোনা রাজ্যে হানা দেওয়ার সময় প্রায় দুমাসের উপর দক্ষিন দিনাজপুর জেলা গ্রীন জোনে থাকলেও এখন দ্রুততার সাথে আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের দিকে এগিয়ে চলেছে। গ্রীন জোন থেকে করোনা আক্রান্ত জেলা হিসেবে ঢুকে পড়ার সময় প্রথমে ৩ জনের দেহে সক্রমনের হদিস মিললেও আজ তার সংখ্যা গিয়ে দাড়িয়েছে ৯০০ কোঠায়। সব চেয়ে বড় কথা এই বিপুল সংখ্যক আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশের কোন পুর্বের ভ্রমনের ইতিহাস নেই। এমনকি এদের মধ্যে বেশির ভাগ ননসিম্পটমিক বলে জানা গেছে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় নতুন করে আজ আরও ৬০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমনের হদিস মিলেছে। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, গত ২১ ও ২২ জুলাই আক্রান্তদের লালার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য মালদা মেডিকেল কলেজের ভিআরডিএলে পাঠানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে রিপোর্ট এলে দেখা যায়, এদের মধ্যে ৬০ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে । এই ৬০ জনকে নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯১১ জন। অবশ্য ইতিমধ্যেই আক্রান্তদের মধ্যে ৪৩৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেলেও জেলার সেফ হোম ও কোভিড হাসপাতাল গুলিতে প্রায় ৫০০ কাছাকাছি আক্রান্তরা চিক্যিস্যাধীন রয়েছেন।
অপরদিকে এদিনের আক্রান্তদের মধ্যে জেলা সদর শহর বালুরঘাটেই সংক্রামিত হয়েছেন ২৭ জন। এর মধ্যে বালুরঘাট জেলা প্রশাসনিক ভবনের পাঁচজন কর্মী সংক্রামিত হয়েছেন।এছাড়াও বালুরঘাট গ্রামীণ এলাকায় ৮, কুমারগঞ্জ ১১ জন, তপনে তিনজন, হিলিতে ৭ জন, হরিরামপুরে ২ জন ও গঙ্গারামপুরে ২ জন সংক্রামিত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য দপ্তর সুত্রে আরও জানা গেছে বালুরঘাট ব্লকের রাধানগরে দুজন,বিজয়শ্রী, চিঙ্গিশপুর, কামারপাড়া, রঘুনাথপুর, মাহিনগর, বিদয়পুর ১ জন করে সংক্রামিত হয়েছেন। হরিরামপুরের পুন্ডরীতে দুজন গঙ্গারামপুরের প্রাণ সাগর ও গঙ্গারামপুরে একজন করে, কুমারগঞ্জের সাফানগরে আট জন, কুমারগঞ্জ, কুলহরি, কুমারগঞ্জ গ্রামীন হাসপাতালে একজন করে সংক্রমিত হয়েছেন। হিলি ব্লকের ধারান্দাযে পাঁচজন, সুপারি পট্টি ও ফতেপুরে একজন করে সংক্রমিত হয়েছেন। তপনের করদহতে দুইজন ও ফুলবাড়ীতে সংক্রমিত হয়েছে একজন।
জেলা স্বাস্থ দফতর দ্রুততার সাথে আক্রান্তদের জেলার সেফ হোম ও কোভিড হাসপাতালে নিয়ে আসার কাজ চালাচ্ছে। এদিকে আজ থেকেই বালুরঘাটে থাকা যুব দপ্তরের যুব হোস্টেলকে নতুন কোভিড হাসপাতাল করা হচ্ছে। সম্ভবত এই আক্রান্তদের সেখানে এনে চিক্যিসার ব্যবস্থ্যা করা হবে। সব চেয়ে বড় কথা আক্রান্তদের মানসিক অবসাদ কাটিয়ে তোলার জন্য ঘরোয়া খেলাধুলো লুডো, ক্যারাম সহ অনান্য খেলার ব্যবস্থ্যা রাখার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি টিভি লাগিয়ে তাদের মানসিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার ব্যবস্থ্যা করেছে প্রশাসন।
No comments