"হাজার পাখির গ্রাম" আঙিনা গ্রামের রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের
শিব শঙ্কর চ্যাটার্জি, নিউজ অনলাইন: হাজার পাখির গ্রাম বলে দক্ষিন দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের আংগীনা গ্রাম বিখ্যাত। প্রচুর পরিযায়ী পাখি শীতের শুরুতে এখানে এসে থাকে। আর প্রত্যেক বছর রুটিন করে জেলা তো বটেই জেলার বাইরে থেকেও পর্যটকদের সেই সব বিদেশি পারিযায়ী পাখী দেখবার ঢল নামে এই আংগীনা গ্রামে। কিন্তু প্রত্যেক বছর পর্যটকরা এলেও হাল ফেরে না এই গ্রামের মানুষজনের চলাচলের রাস্তার। স্বাধীনতার ৭৩ বছর পরেও এই গ্রামে ঢুকতে হয় কাঁচা রাস্তায় হেঁটে। বর্ষাকালে এটাকে রাস্তা না বলে বরং খাটাল বলাই শ্রেয়। এক হাঁটু কাঁদা গ্রামবাসিদের প্রাপ্য। যার ফলে অসুস্থ রোগী থেকে প্রসুতি মহিলা রোগীদের নিকটস্থ বরাহার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাওয়াই দুষ্কর হয়ে ওঠে।মানুষজন থেকে স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের হামেশাই পড়তে হয় দুর্ঘটনায়। অথচ এই গ্রামে প্রায় হাজার বসতির মানুষের বাস। কুমারগঞ্জ ব্লকের সাফানগর এলাকার এই আংগীনা গ্রামের পাকা রাস্তার পাড়া থেকে বাদ আংগীনা গ্রামের ভেতরের যাওয়া পর্যন্ত রাস্তা কাঁচা থাকায় বিপাকে পড়তে হয় ওই গ্রামের বাসিন্দারা। বর্ষায় তা এক হাঁটু কাদাতে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা বার বার স্থানীয় পঞ্চায়েত ও উপর মহলে আবেদন জানিয়েও কোন সুফল পান নি। বাধ্য হয়ে গত শনিবার ক্ষুদ্ধ গ্রামবাসিরা অবিলম্বে রাস্তা পাকা করার দাবিতে এলাকার রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়।
বিক্ষোভের খবর পেয়েই আজ বালুরঘাটের সাংসদ তথা জেলা বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার ওই আংগীনা গ্রাম পরিদর্শনে যান। তিনিও এত বছর পরেও গ্রামে ঢোকার রাস্তা পাকা না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিষয়টি আজ স্থানিও বিডিও এমনকি পঞ্চায়েত স্তরে জানিয়ে অবিলম্বে কাঁচা রাস্তাটি পাকা করার ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাবেন বলে জানান।তাতেও যদি সারা না মেলে তবে তিনি প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার অধীন রাস্তাটি করবার ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন বলে স্থানিও বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করেন।সাংসদ নিজেও বলেন আমাদের জেলায় পারিযায়ী পাখী আসার জন্য বিখ্যাত এই আংগীনা গ্রাম। আর সেই গ্রামের রাস্তার হাল এই যা চিন্তাও করা যায় না। এই হচ্ছে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের নিদর্শন।
No comments