ভারতীয় সেনাদের ওপর পরিকল্পিত হত্যার প্রতিবাদে নন্দীগ্রামে রাস্তায় ট্যায়ার জালিয়ে বিক্ষোভে সামিল সাধারন মানুষ
প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, নিউজ অনলাইন:
১৭ই জুন বুধবার সকাল দশটা নাগাদ নন্দীগ্রাম ১নং ব্লকের ভেকুটিয়া অঞ্চলের শ্রীহরিমোড়ে ভারতীয় সেনাদের ওপর পরিকল্পিত হত্যার প্রতিবাদে , নিহতদের প্রতি একমিনিট নিরবতা পালন করে ।তারপরেই প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু হয়। রাস্তায় ট্যায়ার জালিয়ে বিক্ষোভ দেখান সাধারন মানুষের। এবং এই ট্যায়ারের আগুনে পুরোনো চিনা মোবাইল,টর্চলাইট, এছাড়াও কিছু চিনা পন্য ঐ জলন্ত আগুনে নিক্ষেপ করে তিব্র প্রতিবাদ ও ধ্বিক্কার জানায়।
পরিমল দোলই, নারান দাস, আলপনা মন্ডল এরা সকলেই চিনের এই আগ্রাসন ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জানায়।
করোনা মহামারীর চীনের এই আগ্ৰাসনের পিছনে হাত আছে, এই বিক্ষোভ নিয়ে আভ্যন্তরীণ সমস্যা। সারা বিশ্ব যখন করোনা মহামারীর প্রকোপে বিপর্যস্ত তখন চীন সীমান্ত নিয়ে শুধু ভারতের সেনাদের ওপর এই পরিকল্পিত হত্যার ষড়যন্ত্র করে।
করনা ভাইরাসের কারনে চিন যখন একঘরে, তখন অভিমূখ ঘুরিয়ে দিতেই চীনের এই নতুন কৌশল বলে মনে করছেন তারা।
প্রশ্ন উঠছে চীনের দ্রব্য যদি ব্যবহার না করি তবে ওরা অর্থনৈতিক দিক থেকে দুর্বল হবে। এখানে পুঁজিবাদী চীন কৃত্রিম উপায়ে আমাদের নানা চাহিদা তৈরি করেছে। সেগুলো আমরা সহজে ছেড়ে দিতে পারি। এই মহামারী প্রমাণ করে খুব অল্পতেই আমরা বেঁচে থাকতে পারি।
চীনের প্রোডাক্ট ব্যবহার না করে স্থানীয় তৈরি জিনিস ব্যবহার করতে পারি। তাতে আমরা স্বনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তুলতে পারি।
প্রসঙ্গে আরো বলেন একসময় চেম্বারলীনের ইংল্যান্ড হিটলারের জার্মানিকে তোষণ করতে গিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ডেকে এনেছিল। বাণিজ্যিক স্বার্থে চীনকে একইভাবে তোষণ করলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ডেকে আনা হবে। পথ একটাই বিশ্বজুড়ে চীনাদ্রব্য বয়কট করা।
তাই চীনকে জব্দ করতে আজকে নন্দীগ্রাম থানার অন্তর্গত ভেকুটিয়া অঞ্চলে শ্রিহরী মোড়ে এই তিব্র বিক্ষোভের মাধ্যমে সমস্তরে র মানুষের কাছে এই বর্তা পৌঁছে দিতে চাই, চিনা পন্য বয়কট করুন।
No comments