একদিকে তাদের ঘরে ফেরার আনন্দ, অন্যদিকে তাদের ফিরে আসাকে ঘিরে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক
শিব শঙ্কর চ্যাটার্জি, নিউজ অনলাইন: একদিকে তাদের ঘরে ফেরার আনন্দ অন্যদিকে এভাবে তাদের ফিরে আসাকে ঘিরে শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে একরাশ আতংক।
গত দুদিন ধরে ভিনরাজ্য থেকে বাস ভর্তি পারিযায়ী শ্রমিকদের দক্ষিন দিনাজপুর জেলায় আসার ঢল নেমেছে। কিন্তু তাদের আসার ঢল নামলেও জেলা প্রশাসনের তরফে না আছে তাদের থার্মাল স্ক্রিনিং করার পর্যাপ্ত ব্যবস্থ্যা। না আছে আসা শ্রমিকদের লালা রসের টেস্টের ব্যবস্থ্যা। তাদের নামধাম লেখা নিয়েও নানান অববস্থ্যার জেরে অনেক পারিযায়ী শ্রমিকরা নাম না লিখিয়েই বাড়ি চলে যায় বলে অভিযোগ।
গতকাল বিকেলে বালুরঘাট শহরের থানা মোড়ের জনবহুল এলাকায় আচমকাই পারিযায়ী শ্রমিক ভর্তি একটি এন বি এস টি সি র বাস এসে দাড়াতে দেখা যায়। সেই বাস থেকে বেশ কয়েকজন পারিযায়ী শ্রমিক, তার মধ্যে বেশ কয়েকজন মহিলাও রয়েছেন, এসে নামেন। কিন্তু সেখানে তাদের কোন পরীক্ষার ব্যবস্থ্যা বা তাদের নিজ নিজ গ্রামে প্রশাসনের তরফে নিয়ে গিয়ে হোম কোরায়াইন্টাইনে রাখার কোন ব্যবস্থ্যা। ওই সব পারিযায়ী শ্রমিকরা বাস থেকে নেমে তাদের বোচকা বুচকি নিয়ে হেটে গিয়ে সামনের অটো স্ট্যান্ডে অটোর অপেক্ষায় বসে থাকতে দেখা যায়। জানা যায় তারা গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে ফিরে এসেছে।
আর এদের এভাবে কোন পরীক্ষা বা প্রশাসনের তরফে কোয়ারাইন্টাইনে নিয়ে যাওয়া নিয়ে কোন হেল দোল না দেখা দেওয়ার পরেই বালুরঘাট শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে করোনা সক্রমন ছড়িয়ে পড়ার আশংকা নিয়ে আতংকিত হয়ে পড়তে দেখা যায়।
প্রসংগত মার্চ মাস থেকে দেশে করোনা থাবা বসানোর পরও এই চলতি মে মাসের দ্বীতিয় সপ্তাহ অবধি দক্ষিন দিনাজপুর জেলা গ্রীন জোনে ছিল। কিন্তু ভিন রাজ্য থেকে জেলায় পারিযায়ী শ্রমিকরা ফেরা শুরু হতেই জেলার কুশুমন্ডিতে আসা তিন পারিযায়ী শ্রমিকের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। তারপরেই জেলার বাসিন্দাদের মধ্যে আতংক দেখা দেয়।
অন্যদিকে চতুর্থ দফা লকডাউন শুরুর মুখে দক্ষিন দিনাজপুর জেলায় করোনা পজিটিভ রোগীর সন্ধান মিললেও যে হারে পারিযায়ী শ্রমিকদের আসার ঢল নেমেছে তাতে এরপর কি হতে পারে সেই নিয়েই তারা আতংকিত। পাশাপাশি সোসাল ডিসটান্স মেন্টেডের কোন বালাই তেমন ভাবে কি বাজারে কি রাস্তাঘাটে লক্ষ করা যাচ্ছে না।
No comments