বারাসাত জেলা পুলিশ ও পশুপ্রেমী সংগঠনের পথকুকুর সহ অবলা জীবদের বাঁচিয়ে রাখার যৌথ লড়াই জারি
নিউজ অনলাইন: লক ডাউনের সময় সাধারণ মানুষ বেরোতে পারছেন না ঘর ছেড়ে।ফলশ্রুতি, মানুষের পাশাপাশি প্রবল খাদ্যকষ্টে পথ কুকুর সহ অবলা জীবকুল।কিন্তু বারাসাত জেলা পুলিশ ও পশুপ্রেমী সংগঠনের অক্লান্ত পরিশ্রম পথকুকুর সহ জীবকুলের খাদ্যসংকটের সমস্যাকে লাঘব করছে প্রতিনিয়ত। লক ডাউনের অন্য দিনগুলির মত বৃহস্পতিবারও উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলা সদর বারাসাত সহ জেলার অন্যত্র পথে পথে ঘুরে দিনভর পথের অবলা জীবদের খাদ্য জুগিয়ে গেলেন।
লক ডাউনের ফলে খাদ্যসংকটে পথকুকুর, বেড়াল ও অন্য পশুপাখি দের অস্তিত্ব সংকটের আশঙ্কা ছিল যা বিঘ্নিত করতে পারে বাস্তুতন্ত্রকে। ইকোসিস্টেম ভেঙে পড়লে হলে দেখা দিতে পারে অন্য বিভিন্ন মারণ রোগ এমন ভয়ই ছিল পরিবেশবিদ ও বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠনের । ফলে এই পশুপ্রেমী সংগঠনদের অনেককে কোভিড 19 এর মোকাবিলায় সক্রিয় থাকতে দেখা গেছে লক ডাউনের পর থেকেই ।আর বারাসাত জেলা পুলিশ বরাবরই সক্রিয় ছিল দুঃস্থ মানুষের সাথে অবলা জীবদের সেবায়।পশুপ্রেমী সংগঠনগুলিকে অবলা জীবদের দেখভাল করার অনুমতি পুলিশ যেমন দিয়েছিল তেমনই নিজেরা পথে নেমে নিরলসভাবে অবলা জীবেদের খাওয়ার জুগিয়ে গেছে। স্বয়ং পুলিশ সুপার অভিজিত বন্দোপাধ্যায় নিজে জেলাপুলিশের কিছু কর্মীকে দায়িত্ব দিয়েছেন অবলা জীবদের খাদ্য যোগান দেওয়ার।তাঁরা নিরলস ভাবে মানবিক দায়িত্ব পালন করছেন।অন্যদিকে পশুপ্রেমী সংগঠন জেলা জুড়েই চালাচ্ছেন তাঁদের কর্মকান্ড। রাস্তার পশুপ্রাণীরা যেন না খেতে পেয়ে থাকে সেজন্য বারাসাত জেলা পুলিশ ও পশুপ্রেমী সংগঠন পশুপতি এনিমেল অয়েলফেয়ার সোসাইটি একযোগে বৃহস্পতিবার বারাসাতে কয়েকশো পথ কুকুরকে খাদ্য যোগান দিল।
No comments