করোনার জেরে ম্লান বালুরঘাট শহরের খিদিরপুরের প্রাচীন চড়ক পুজো
শিব শঙ্কর চ্যাটার্জী, নিউজ অনলাইন, বালুরঘাট: করোনার দাপটে এবার বালুরঘাটে ম্লান গাজনের উন্মাদনা। নমনম করে শাস্ত্র মতে সারতে হচ্ছে চড়ক পুজো। অথচ এবারই শতবর্ষে পদার্পন করতে চলেছিল বালুরঘাট শহরের খিদিরপুরের প্রাচীন গাজুর চড়ক পুজোর।
কথায় আছে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন। বছরের শুরুতে যেমন গনেশ বন্দনা তেমনি বছরের শেষ দিনে শিবের চড়কের গাজন পুজো সেরেই শেষ হয় বাঙালির পুরনো বছর। তারপর থেকেই শিবের চড়ক পুজোর ভক্ত গন আবার সামনের বছরের এই চড়ক নিয়ে মেতে থাকার চৈত্র মাসের দিন গুলির দিকে অধির আগ্রহে তাকিয়ে থাকে।
অনান্য বার এই চৈত্র মাস পড়তে না পড়তেই শিবের ভক্তরা গাজনের বাজনার সাথে সাথে বাবা মহাদেবের পাট মাথায় নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুড়ে বেড়ানোয় মেতে উঠতো। কিন্তু এবার করোনার হানায় ভক্তদের শিকেয় উঠেছে সেই আনন্দে মেতে ওঠা। ভক্তরা ভক্তি নিয়েই ঘুড়তে ভালবাসতেন, কিন্তু এই দিন গুলি তাদের ঘর বন্দি থাকতে হওয়ায় যেমন মন খারাপ। পাশাপাশি যে সব বাড়িতে প্রত্যেক বছর চৈত্রের পাতা ঝরা দুপুরে বা রাত্রে গাজনের পাট গিয়ে বসত। বাজত ঢাকের বোল আর ঘন ঘন মহাদেবের নামে জয়ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠত বাড়ির অংগন। এবার বাড়ির দোড়গড়ায় গাজনের বাবার পাট না আসায় সেসব বাড়ির মহিলা পুরুষদের ও মন খারাপ। খুশিতে নেই কচিকাচারাও।
করোনা এসেছে হয়তো তার দাপট দেখিয়ে তার সময় মত পালিয়েও যাবে। কিন্তু তার প্রভাবে এবারের গাজন উৎসব বন্ধ থাকলেও তাই বলে তো আর বাবা মহাদেবের পুজো বন্ধ থাকবেনা। সে দিকে তাকিয়েই বালুরঘাট শহরের খিদিরপুরের প্রাচীন গাজন উৎসব কমিটি তাদের যাবতীয় অংগাগীক আয়োজনকে পাশে সরিয়ে রেখে এবার শুধু নিয়ম রক্ষায় শাস্ত্র মতে বাসৎরিক পুজোটুকু সারতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা।
No comments