Recent comments

ads header

Breaking News

করোনা আবহে বিষাদের সুর মৃৎ শিল্পীদের গলায়


প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, নিউজ অনলাইন: করোনার জেরবারে মন ভালো নেই বিশ্ববাসীর,আর তার থেকে বাদ নেই বাঙালীরও।অদৃশ্য শত্রুর থাবায় কাহিল মানবসমাজ।আর যার জেরে জীবন সংশয়ের পাশাপাশি অর্থনীতি ব্যবস্থা তলানিতে পৌঁছে যাচ্ছে ক্রমশ।আর যার প্রভাবে বৃহৎ শিল্প থেকে ক্ষুদ্র- মাঝারি শিল্পেও করোনার প্রভাবে মানুষ বড্ড অসহায় হয়ে পড়ছে।ঠিক তেমনি রাজ্যের মৃৎশিল্পীদের অবস্থা এখন তথৈবচ।গত প্রায় ছয় মাসে পূজো পার্বন তেমন আর হচ্ছে না।যার ফলে বিগত পূজোগুলিতে প্রতিমাগড়ার কাজে ছিলো না কোন তাড়াহুড়ো বা ব্যস্ততা।ফলে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলো ক্রমেই কাজ না আসায় কেবলই হতাশায় দিনগুনে আসছিলেন।তবে ওদের অনেকটা আশাছিলো হয়তো মাসছয়েকের মধ্যে কিছুটা করোনা আবহ কেটে  স্বস্তিতে ফিরবে বিশ্বকর্মা প্রতিমা গড়ার কাজে।দেখা মিলবে হয়তো পুরানো ছন্দে সেই কর্মব্যাস্ততা খড় -মাটি আর তুলির টানে  পুরোনো ছন্দে।ঘরে ফিরবে আগের মতো সেই খুশির দিন! কিন্তু হায়!এই বিশ্বকর্মা পূজোও এবছর সাধ দিলোনা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার মতো পূর্ব মেদিনীপুরের মৃৎশিল্পীদের।প্রতিমা হয়তো গড়ছেন,তবে তুলনামূলক অনেকটাই কম।এমনটাই জানালেন পাঁশকুড়া ব্লকের কেশববাড় গ্রামের বেশকিছু মৃৎশিল্পীরা।এমনই এক মৃৎশিল্পী মৃনাল চিত্রকর জানালেন,করোনা আবহে এরআগে যত পূজো গেছে তাতে কোন প্রতিমাগড়ার অর্ডার আসেনি।তবে ব্যঙ্ক থেকে টাকা লোন করে এই বিশ্বকর্মা পূজোর জন্য প্রতিমা গড়ার কাজে হাত লাগিয়েছেন।তবে দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো অর্ডার তেমন নেই।অন্যান্য বছর যেখানে তিনি ১৫০ প্রতিমা গড়তেন সেক্ষেত্রে এবছর মাত্র ৭০ টি প্রতিমা গড়েছেন।নেই আগের মতো অর্ডার,মৃনাল বাবু আক্ষেপ করে জানান,ক্রেতারা বাড়িতে এলেও যে প্রতিমা একহাজার থেকে বারোশো টাকা,সেই প্রতিমা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকার বেশী দাম দিতে চাইছে না।ফলে প্রতিমা আধাদামেই বিক্রি করে দিতে হচ্ছে।ফলে লাভের আশাতো দূরস্ত,প্রতিমা গড়েও ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মৃৎশিল্পী মৃনাল চিত্রকর।তিনি ছাড়াও এই পাড়ায় আরো বেশকয়েকজন মৃৎশিল্পী রয়েছেন,তাদের অবস্থাও একইরকম বলে জানান।সবমিলিয়ে অদৃশ্য মানবশত্রু করোনা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত যে কোন মানুষই পুরানো ছন্দে যে ফিরবে না সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।তবে এই বিশ্বকর্মা পূজো করোনার আবহে শিল্প কারখানা বা বাড়িতে বিগত বছরের তুলনায় বেশ কম,আর এর প্রভাবেই মৃৎশিল্পীদের এবছরও মুখে হাঁসি ফুটবেনা তাসহজেই অনুমেও।তাই মৃৎশিল্পী মৃনাল বাবুর মতোই রাজ্যের সমস্ত মৃৎশিল্পীদের পারিবারিক চিত্রটা যে একই রকম সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।তাই এখন ঈশ্বরের কাছে এখন ওদের কাতর একটাই আবেদন,ফিরিয়ে দাও হেপ্রভু আগের সেই সুখের দিন.....

No comments