চুরি করতে আসা চোরকে ধরে ফাঁসি দিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে
প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, নিউজ অনলাইন: চুরি করতে আসা এক ব্যক্তিকে খুন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো গ্রামবাসীদের একাংশের বিরুদ্ধে। এমনই অভিযোগ করলেন মৃত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে। যদিও গ্রামবাসীদের বক্তব্য, জনতার হাত থেকে বাঁচতে নিজেই ঝুলে পড়েছে চোর।ঘটনাটি ঘটছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর থানার সিমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার রামপুর গ্রামে।মৃত ব্যাক্তি ভগবানপুর থানার বিভীষনপুর গ্রামের দেবাশীষ ঘোড়াই (৫২)।
জানা গেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর থানা সিমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপুর গ্রামের বাসিন্দা মনোরঞ্জন দাসের একটি দোতলা বাড়ি রয়েছে। ওই বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে কেউ থাকেন না। ওই গ্রামের মনোরঞ্জন দাসের নির্জন বাড়িতে গতকাল রাতে চোর আসে। খবর পেয়ে যায় গ্রামের বাসিন্দারা। তারপর পুরো বাড়ি ঘিরে ফেলে রামপুর গ্রামের বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ভগবানপুর থানার পুলিশ এসে দোতলা বাড়ির ওপরের তলার ঘরে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত এক ব্যক্তির মৃতদেহ দেখতে পায়।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে মৃত ব্যক্তির পরিবারের লোকজন ও গ্রামবাসীরা। তাদের অভিযোগ, রামপুর গ্রামের লোকজন দেবাশীষকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে। এরপরই মৃতদেহ উদ্ধার করতে পুলিশকে বাধা দেয় গ্রামবাসীরা৷ অবশেষে গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। মৃতদেহটি কাঁথি হাসপাতালে ময়না তদন্তে পাঠায়।
যদিও মৃত মধ্যবয়স্ক পরিবার খুনের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন। মৃত দেবাশীষের ছেলে মঙ্গলদীপ ঘোড়াই বলেন বাবাকে খুন করা হয়েছে। পাশের গ্রামের রামপুরে মনোরঞ্জন দাস নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে বাবার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। আমার মনে হয় বাইরে থেকে খুন করে নিয়ে এসে বাড়িতে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।পা মাটিতে লেগেছিল।জামা ও প্যান্ট খোলা অবস্থায় ছিল। মৃত ব্যক্তির গ্রামের বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন দেবাশীষ আগে বেশ কয়েকবার চুরির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল। আমরা প্রথমে মনে করেছিলাম চুরি করতে এসে ধরা পড়ে গণপ্রহারে মৃত্যু হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ আলাদা ঘটনা। হয়তো ভাবতাম প্রথমে চুরির ঘটনার সঙ্গে ধরা পড়েছে অপমানে আত্মঘাতী হয়েছে। তিনি আগে বেশ কয়েকবার চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে। সেখানেও গণপ্রহার শিকার হয়েছে।এটা পরিকল্পিত খুন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিয়েছে।
ভগবানপুরে রামপুরে এক বাসিন্দা বলেন গভীর রাতে গ্রামবাসীরা চোর বলে চিৎকার শুরু করলে অনেকে জমায়েত হয়। এরপর ওই বাড়িটি চারপাশে গ্রামবাসীরা ঘিরে ফেলে।এই ঘটনাটি ভগবানপুর থানা পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ এসে দরজা খুলে তাকে ফাঁসিতে ঝুলে রয়েছে।ভগবানপুর থানার ওসি প্রনব রায় বলেন মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তে রির্পোট এলে মৃত্যুর কারন পরিস্কার হবে। মৃত পরিবারের পক্ষ থেকে থানার সন্ধ্যা পর্ষন্ত অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হবে।
No comments