Recent comments

ads header

Breaking News

দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরে টোটো উল্টে মৃত দুই শিশু

শিব শঙ্কর চ্যাটার্জি, নিউজ অনলাইন: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর ব্লক এর হরিরামপুর মসজিদ মোড় থেকে বালিহারা যাবার রাস্তায় একটি কালভার্টের উপর থেকে টোটো উল্টে খারিতে পরে মারা গেল দুই শিশু । এদিন আনুমানিক বিকেল তিনটে নাগাদ ঘটনাটি  ঘটে । সূত্রের খবর মৃত দুই শিশুর বাবার নাম সনাতন দাস তার বাড়ি ব্লকের জাঠি গ্রাম এলাকায় । তিনি পেশায় একজন পরিযায়ী শ্রমিক । এদিন সনাতন দাসের স্ত্রী পিয়া দাস  নিজের বাবার বাড়ি হরিরামপুর ব্লক এর দান গ্রাম এলাকায় সেখান থেকে আজ দুপুর আনুমানিক দুটো নাগাদ নিজের দুই ছেলে টগর দাস বয়স ২ বছর ও কার্তিক দাস বয়স ৩বছর ।  এদের কে নিয়ে বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ি জাঠি গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়  সঙ্গে তার মা মঞ্জুরি দাস ছিলেন সেই টোটো তে । সেই টোটো টি হরিরামপুর মসজিদ মোড় থেকে জাঠি গ্রাম এর দিকে যাচ্ছিলো হঠাৎ হরিরামপুর মসজিদ মোড় এলাকার ছিরামতি নদীর উপর রেলিং বিহীন  কালভার্টে উপরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টোটো টি উল্টে যায় । বর্তমানে এই নদীতে প্রচন্ড স্রোত বর্তমান  সেসময় আশেপাশে কোন লোক না থাকায় দুই মহিলা ও টোটো চালক কোনোক্রমে নিজেদের প্রাণ বাঁচিয়ে জলের থেকে বেরিয়ে আসলেও কিন্তু দুটি বাচ্চাকে পাওয়া যায়নি । এই ঘটনার পর ঘটনাস্থলে হরিরামপুর থানার পুলিশ পৌঁছায় । পরে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ডিপ কুমার দাস সঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুরাল ডাব্লু ভুটিয়া ও ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ডি এম ডি সি মনোতোষ মন্ডল  ঘটনাস্থলে পৌঁছান ।  দমকল বাহিনীর কর্মীরা  ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কিন্তু নদীর প্রচন্ড স্রোতের কারণে কিছুতেই বাচ্চাদের উদ্ধার করা উদ্ধার করতে পারেনি । পরে স্থানীয়দের তৎপরতায় ও হরিরামপুর থানার পুলিশ সিভিক ভলেন্টিয়ার সহযোগিতায় নদীতে আটকে থাকা পানা সরিয়ে দুটি বাচ্চার মধ্যে একটি বাচ্চাকে উদ্ধার করা হয় এবং তাকে হরিরামপুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় কিন্তু বাচ্চাটি ততক্ষণে মারা গেছে । বাচ্চার খোঁজে স্থানীয় রা  ও পুলিশ প্রশাসন তৎপরতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে খবর লেখা পর্যন্ত অপর বাচ্চাটির কোন সন্ধান করতে পারেনি পুলিশ । এই ঘটনায় পরিবারের লোকজনেরা শোকাচ্ছন্ন হয়ে আছেন । স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে প্রশ্ন উঠছে এই কালভার্ট দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে নেই কোন রেলিং আজ যদি এই কালভার্টে দুদিকে রেলিং থাকতো তাহলে টোটো উল্টে  দুই বাচ্চা মারা যেত না ।

No comments