Recent comments

ads header

Breaking News

পেটের টানে ফের হিলি থেকে হায়দ্রাবাদ চললেন বেশ কিছু পরিযায়ী শ্রমিক

শিব শঙ্কর চ্যাটার্জি, নিউজ অনলাইন:  এ যেন উল্টোপুরান,  যেখানে হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক করোনা আতঙ্কে রুটি -রুজি হারিয়ে পায়ে হেটে,  ট্রেনে-বাসে নিজ নিজ রাজ্যে ফিরে আসছেন।সেখানে সেই করোনা আতংক চিন্তা মাথায় রেখেও স্রেফ পেটের টানে অন্ধ্রপ্রদেশের হায়দ্রাবাদে কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে  শ্রমিকরা দলবেধে  রওনা হলেন ওই রাজ্যের একটি বেসরকারি নির্মানকারি সংস্থার প্রেরিত গাড়িতে। রবিবার সন্ধ্যায়  দক্ষিন দিনাজপুর জেলার হিলি থানার তিওড়ে এমন বিরল ঘটনায় অনেকেই যেন বেচে থাকার আশার আলো দেখছেন।

স্থানিও সুত্রে জানা গেছে তিওড় এলাকার বেশ কিছু পরিযায়ী শ্রমিক হায়দ্রাবাদের মেডক এলাকায় একটি বেসরকারি নির্মান সংস্থ্যায় পাঠানো গাড়িতে গতকাল সন্ধায় ফের কাজে যোগ দিতে চলেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তারা সে কথা স্বিকার করে।  দেখা যায় অন্ধ্রপ্রদেশের নম্বর প্লেট যুক্ত একটি ছোট গাড়িতে তারা তাদের নিজ নিজ মালপত্র ও রাস্তায় খাবারের জন্য রান্নার সরঞ্জাম তুলে সব কিছু ঠিকঠাক করে নিতে ব্যাস্ত।আরও একটি গাড়ি রাস্তায় আছে একটু পরেই সেখানে ঢুকবে। নির্মানকারি সংস্থ্যার পাঠানো দুটি গাড়ি চেপেই করোনা আতংকের কথা মাথায় রেখেও তারা হায়দ্রাবাদের মেডকে কাজে যোগ দিতে চলেছেন স্রেফ রুটি রুজির টানে। না হলে সারাবছর কিভাবেই বা পরিবারের পেট ভরাবেন আর কি ভাবেই বা ভবিষ্যৎ এর জন্য সঞ্চয় করে রাখবেন।

  জানা গেছে করোনা আতংকে লকডাউনের জেরে বেসরকারি সংস্থ্যার কর্মরত শ্রমিকরা নিজ নিজ এলাকায় তাড়াহুড়ো করে ফিরে যায়। ফলে  নির্মানকারি সংস্থ্যার কাজ অসমাপ্ত রয়ে যায়। তাই লকডাউন উঠে আনলক-১ শুরু হতেই তাই নির্মানকারি সংস্থ্যারা তরফে তাদের সেই সব অর্ধ সমাপ্ত কাজ শেষ করতে ফের বিশ্বস্ত শ্রমিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তোড় জোড় শুরু করে।কিন্তু ফেরার জন্য যাতায়াতের সমস্যার কথা জানালে নির্মানকারি সংস্থ্যার তরফে দুটি গাড়ি তাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য পাঠিয়ে দেয়। সেই গাড়িতেই তারা ফের নিজ কর্মক্ষেত্রে ফিরে যায় গতকাল বলে জানা গেছে।

সুদেব বর্মন ও সনাতন মন্ডল নামে ফিরে যাওয়া দুই পারিযায়ী শ্রমিক জানান  এখানে কাজ নেই তাই করোনা আতংক নিয়েই তারা স্রেফ পেটের টানে হায়দ্রাবাদের কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে চলেছেন। সেখানে কাজের সময় সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই  তারা তাদের কাজ কর্ম করবেন। এছাড়া পরিবার চালানোর ভিন্ন কোন পথ তাদের সামনে খোলা নেই।

No comments