দক্ষিণ দামোদর এডুকেশন এন্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে নিজেদের ঘরে ফিরল বেশ কিছু মানুষ
কল্যাণ দত্ত, নিউজ অনলাইন: বাংলা ভাষায় বহুল ব্যবহৃত “নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো” প্রবাদটি অনেকে কৌতুক করে বললেও এ প্রবাদের ভেতরেই স্বেচ্ছাসেবার মূল অন্তর্নিহিত। মানবিক দাযবদ্ধতা থেকে মানুষসহ সকল প্রাণীর কল্যাণে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের নি:স্বার্থ প্রচেষ্টা চালানোই স্বেচ্ছাসেবা। মানুষ সমাজবদ্ধ জীব এবং একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। যে ব্যক্তি কোনো কিছুর বিনিময় ছাড়াই স্বেচ্ছায় সেবা প্রদান করে, প্রকারান্তরে সেবা প্রদানকারী এর মাধ্যমে সেবা গ্রহীতার প্রতি তার দায়বদ্ধতা হতে মুক্ত হওয়ার সুযোগ পায়। প্রশ্ন জাগতেই পারে, আমরা কিভাবে অন্যের কাছে দায়বদ্ধ। এর উত্তরে স্বাভাবিকভাবেই বলা যায, পৃথিবীর এমন কোনো ব্যক্তি নেই যে সারা জীবনে প্রাপ্ত প্রত্যেকটি সেবার সঠিক এবং সময়মতো মূল্য প্রদান করতে সক্ষম হয়েছে।
সামাজিক দায়বদ্ধতায় সোচ্চার হয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলার দক্ষিণ দামোদর এডুকেশন এন্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নামক সংগঠনটি ২০১৬ সাল থেকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রকার সামাজিক কাজ করে আসছেন। লকডাউন এরপর থেকে সংগঠনটি এখন পর্যন্ত ৫০০০ এরো অধিক পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। কখনো অন্ন,কখনো কখনোবা নগদ টাকা, রক্তের প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে সহযোগিতা করছেন। সংস্থার সম্পাদক আমিরুল আলি জানান প্রতিনিয়ত সমাজ সেবার পাশাপাশি দীর্ঘ লকডাউন এর ফলে আটকে পড়া বহু পরযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফিরানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। এরকমই ৫৪ জন পরযায়ী শ্রমিকদের আজ ঝাড়খন্ড রাজ্যের রাঁচি থেকে হুগলী জেলার খানাকুল অঞ্চলে ফিরিয়ে দিলাম, পাশাপাশি আজ ফেরার পথে সকালবেলা বৃষ্টিকে উপক্রম করে দক্ষিণ দামোদর এডুকেশন এন্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটি সদস্যবৃন্দরা খালেরপুর সংলগ্ন এলাকায় তাঁদের টিফিন এর ব্যবস্থা করে দেন।
No comments