আমফানের পাঁচ দিন পরেও উত্তর ২৪ পরগনার বেশ কিছু এলাকায় না পৌঁছেছে ত্রাণ, না শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ
সৌভিক সরকার, নিউজ অনলাইন: উমফুনের পাঁচদিন পরেও উৎসবের প্রহর ঈদের দিন কেটে গেলেও উত্তর চব্বিশ পরগনার বিরাট অংশে এখনও না পৌঁছেছে ত্রাণ, না হয়েছে উদ্ধারকার্য। এমনই একটি গ্রাম কড়েয়া কদম্বগাছি যেখানে ঝড়ের তান্ডবলীলা প্রকট। পাকাবাড়ি যাঁদের তাদের ক্ষয়ক্ষতি তুলনামূলক কম। বেশ কিছু মাটির ঘর বা টালির চাল মিশে গেছে মাটিতে।নিরন্ন ও আশ্রয়হীন হয়ে আছেন গ্রামের মানুষ। প্রাণহানি না হলেও সোমবার উৎসবের দিনে তাই ছিল হাহাকার। মঙ্গলবার সকালেও একবিন্দু ত্রাণ এসে পৌছায় নি।
ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়েই থাকলেন কড়েয়া কদম্বগাছির মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। গ্রামের একাধিক হিন্দু পরিবারও চাল চুলো হীন হয়ে ভাঙা ঘর ছেড়ে অন্যত্র দিন কাটাচ্ছেন। কেবলই ধ্বংসের ছবি এখনও বারাসাত শহর থেকে কিছু দূরে অবস্থিত গ্রামজুড়ে। ঘর বাড়ি ভেঙে পড়ে আছে, গাছ উপড়ে পড়েছে যত্রতত্র। কিন্তু সাহায্যের হাত বাড়ায় নি কেউ। দেখা নেই প্রশাসন, রাজনৈতিক দলের। গ্রাম পঞ্চায়েতের নেতারা এখন ডুমুরের ফুল। বড় অসহায় হয়ে দিন কাটাচ্ছেন মানুষ। ঈদে উৎসবের আনন্দে সামিল হতে পারেন নি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা। গ্রামের হিন্দু বেশ কিছু পরিবারের অবস্থাও খুবই করুণ। সাহায্যের হাত বাড়াচ্ছেন গ্রামেরই সামান্য কিছু অবস্থাপন্ন মানুষ। ফলে নিরানন্দ ঈদ কাটলো কড়েয়া কদম্বগাছির।
সুপার সাইক্লোন হওয়ার পর অনেকটা সময় কেটে গিয়ে ঈদ এল। চলেও গেল। কিন্তু ধ্বংসের মধ্যে রয়েছে কড়েয়া কদম্বগাছি। শোকের পরিমন্ডলে ঢাকা পড়ে আছে গ্রাম। মন ভালো নেই উভয় ধর্মের মানুষেরই। বাঁচতে চান তাঁরা, কিন্তু খড়কুটো জোটা মুশকিল হওয়ায় অসহায় কড়েয়া কদম্বগাছি।
No comments